সমতল অঞ্চল হতে এ অঞ্চলের সামাজিক বিচার, আইন, শাসন, সংস্কৃতি, ও ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ পৃথক। ১৮৬০ খ্রিঃ ব্রিটিশ সরকার এ অঞ্চলকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে | পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ীরা মূলত জুমচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে । উচুঁ পাহাড়ের জঙ্গল আগুনে পুড়িয়ে চাষাবাদের উপযোগী করত ধানসহ বিভিন্ন শাক-সব্জি, ফল-মূলের চাষাবাদ করাকে জুম চাষ বলে । এখানে রাজ প্রথা, হেডম্যান এবং কার্বারী রয়েছে | গ্রামের প্রধানকে কার্বারী বলে এবং মৌজা প্রধানকে হেডম্যান বলে । কার্বারী পাড়া/গ্রাম পর্যায়ে ছোট-খাট সামাজিক সালিস/বিচার করে থাকে । হেডম্যান মৌজার রাজস্ব আদায় করেন, মৌজার সম্পদ সংরক্ষণ করে, মৌজার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখেন ও জমি-জমার প্রতিবেদন দেন । হেডম্যান আদালত হিসেবে সামাজিক বিচার-আচার করে থাকেন । হেডম্যান ২৫ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারেন । হেডম্যানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সার্কেল চীফের নিকট আপীল করতে হয় এবং তিনি ৫০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারেন | পার্বত্য এলাকায় ০৩ জন রাজা আছেন । খাগড়াছড়ি জেলার রাজ প্রথার মধ্যে মং সার্কেল চীফ, রাঙ্গামাটিতে চাকমা সার্কেল চীফ এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলাতে বোমাং সার্কেল চীফ রাজা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন | কার্বারী, হেডম্যান, সার্কেল চীফ/রাজারা সরকার হতে মাসিক ভাতা পেয়ে থাকেন এবং প্রজাদের খাজনা হতে কিয়দংশ হেডম্যান ও রাজারা পান ।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ৩টি উপজাতি সম্প্রদায় বাস করে ।চাকমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জুম নৃত্য দেশে-বিদেশে দারুণভাবে প্রশংসিত।মারমা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী থালা নৃত্য, প্রদীপ নৃত্য, পরী নৃত্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় ।ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী গড়াইয় ও বোতল নৃত্য অত্যন্ত প্রশংসনীয় ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস